খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২২
  কুষ্টিয়ার বটতৈলে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত

নিখোঁজের ৩দিন পর মুসলিম ছাত্র উদ্ধার, ইসকনে দিক্ষীত করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শেখ মইনুল ইসলাম মাহিম (১৭) নামে এক কিশোরকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরক্র উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সদস্য করার অভিযোগ করেছেন তার বাবা। নিখোঁজের তিনদিন পর শুক্রবার রাতে শ্যামনগরের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে মাহিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মইনুল সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল প্রথম বর্ষের ছাত্র।

মইনুলের ধর্ম পরিবর্তনের পিছনে হিন্দু প্রাইভেট শিক্ষক ও ইসকনের এক প্রভুর সরাসরি হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্মান্তরিত তার বাবা শেখ সিরাজুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি শ্যামনগর সদরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ঘরের সন্তান। শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং জাতীয় পর্যায়ে চ্যানেল-আই কৃষি পদক প্রাপ্ত। আমার ছেলে শেখ মঈনুল ইসলাম মাহিম (১৭) খুলনা পলিটেকনিকের সিভিল ১ম বর্ষের ছাত্র। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালিন প্রাইভেট শিক্ষক কমলেশ মন্ডলের কাছে পড়াশুনার জন্য আসা যাওয়া করতো সে। এর এক পর্যায়ে সেখানে কিছু উগ্র ধর্মীবাদী ব্যক্তিরা আমার ছেলেকে বিভিন্ন মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে তাকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা করতে থাকে।

একপর্যায়ে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতায় আমার ছেলেকে মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখায় এবং ইসকনের গোপন বৈঠকে নিয়ে যায়। গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের পুরোহিত ইসকনের প্রধান কৃষ্ণ সখা আমার ছেলেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে নিয়ে গিয়েছে এবং তাদের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় আসক্ত করেছে। ইসকন কর্তৃক যে সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থ আছে তা আমার ছেলের শোবার কক্ষে পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, গত ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টা থেকে মাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় এবং তাকে সম্ভাব্য স্থানে বহু খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় আমি শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করি।

একপর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে আমার ছেলে শেখ মঈনুল ইসলাম মাহিম শ্যামনগরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রবশ পথে গেছে বলে জানতে পারি। এরপর আমার পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন মাধ্যমে আমার ছেলের ব্যাগের মধ্যে নগদ ২০ হাজার টাকা, ইনকনের কিছু বই, জব মালা, পুঁথি, ডায়েরী, চন্দন, কলম, ধুতি, ইসকনের গেঞ্জি ইত্যাদি পাওয়া যায়। তখন আমি আমার ছেলেকে বাড়ীতে যাওয়ার কথা বললে সে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ইসকনের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

এসময় শ্যামনগর থানা পুলিশ আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। থানায় নিয়ে আসার পর তার কথাবার্তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসংগতি দেখা দেওয়ায় এবং ছেলের হাতে ইনজেকশন পুশের দাগ থাকায় তারা আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আমার ছেলে মাহিম শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ইসকন মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমার ছেলেকে ধর্মান্তরিত করেছে এবং তাকে ভারতে পাচার করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ইতিমধ্যে জানতে পারলাম আমার ছেলের নামীয় পাসপোর্ট ইসকনের সদস্য কৃষ্ণ সখার ভাইপো মলয়ের কাছে সংরক্ষিত আছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!