নতুন বলে শরিফুল ইস্লাম-তানজিম সাকিবরা রীতিমতো আগুন ঝড়ালেন! তাদের পেসে পুড়ে ছাই হয়েছে কিউই ব্যাটাররা! পুরো দুল মিলে স্কোরবোর্ডে একশ রানও তুলতে পারেনি—অলআউট হয়েছে ৯৮ রানে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ, ঘরের মাঠে চতুর্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ এবং ২০০৭ সালের পর দেশের মাটিতে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। বোলারদের এমন বীরত্বের পর বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ২০তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। সেটাও ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। শনিবারের এই সকালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নিশ্চয়ই রূপকথার!
এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড ৩১ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ৯৮ রানেই অলআউট হয়ে গেছে।
এর মাধ্যমে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কম রান করান নতুন রেকর্ড গড়েছে তারা। এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কিউইদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৬২। যেটি ২০১৩ সালে মিরপুরের শেরে বাংলায় করেছিল তারা।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম এবং পার্টটাইম মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার। শেষ উইকেটটি তুলে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
নেপিয়ারে সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জয় পান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। টসে জিতে তিনি নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। এদিন নিউজিল্যান্ড একাদশে কোনো পরিবর্তন না আনলেও; বাংলাদেশ একটি পরিবর্তন আনে। পেসার হাসান মাহমুদের জায়গায় একাদশে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রথমে বোলিংয়ে নামা টাইগার পেসাররা শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা। ওই দুটি উইকেটই তুলে নেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে ৮ রানে সাজঘরে পাঠান। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা হেনরি নিকলসকে মাত্র ১ রানে আউট করে দেন তিনি।