অ্যাজাজ প্যাটেল, ইশ সোধিদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে চতুর্থ দিন সংগ্রহটা খুব বেশি বড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। শান্ত বাহিনীর দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ৩৩৮ রানে। তাতে নিউজিল্যান্ডের সামনে সিলেট টেস্টে লক্ষ্যটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩২ রান।
আগের দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সবকটি উইকেট হারিয়ে দলের খাতায় যোগ করেছে ১২৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যাজাজ। ২টি উইকেট সোধির ঝুলিতে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। মাত্র ২৬ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের দাপুটে ব্যাটিং দলকে আশা দেখিয়েছিল বড় লিডের। তবে তৃতীয় দিন শেষে টাইগারদের যে দাপট ছিল সেটা চতুর্থ দিনে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় কিউই স্পিনাররা।
শুরুটা অবশ্য করেন পেসার টিম সাউদি। দিন শুরুর দ্বিতীয় ওভারেই তার লেগ স্টাম্পের বাইরে বলে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেয়া শান্ত। ১৯৮ বলে ১০ চারের মারে ১০৫ রানে থামে তার ইনিংস।
আগের দিন ৪৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এদিন ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লউ হন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এ ব্যাটার। ১১৬ বল মোকাবিলায় তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারের মারে। অন্যদিকে অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপু এদিন আউট হন মাত্র ১৮ রানে। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ইশ সোধি।
এদিন কিউই স্পিনে পরাস্ত হয়েছেন এক বছর পর দলে ফেরা নুরুল হাসান সোহানও। একবার জীবন পাওয়া এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার ২৭ বলে ১০ রান করে গ্লেন ফিলিপসকে স্ট্রেইটে তুলে মারতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। একপ্রান্ত আগলে রাখা মেহেদী হাসান মিরাজকে এদিন সঙ্গ দিনে ব্যর্থ হন তিন টেলএন্ডার নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। ৭৬ বলে ৫ চারের মারে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার কল্যাণেই বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ৩০০ ছাড়িয়েছে।
১৪৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন অ্যাজাজ। ৭৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন ইশ সোধি। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি ও গ্লেন ফিলিপস।
খুলনা গেজেট/এনএম