যাত্রাবাড়ী ও দারুস সালাম থানায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার চারটি মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকবে বলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেত্বত্বে ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দৌজা বাদল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘শুনানিকালে আমরা বলেছি, নাশকতার এসব মামলা দায়ের করা হয় ২০১৫ সালে। অথচ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২০১৪ সাল থেকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়। তিনি ঘটনার সময় নিজের বাসভবনে বন্দি ছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে এসব মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। মামলার এফআইআরে তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু চার্জশিটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব মামলা হাইকোর্ট জামিন দিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন। আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ দারুস সালাম থানায় তিনটি মামলা করেছিল পুলিশ এবং যাত্রাবাড়ী থানায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। এসব মামলার এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালে চার্জশিট দেওয়ার সময় পুলিশ খালেদা জিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
পরে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করলে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেন। দীর্ঘদিন পর আজ আপিল বিভাগ শুনানি শেষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে এসব মামলা হাইকোর্টে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আদালতকে নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট / এমএম