বোর্ডের চুক্তিভুক্ত নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু বেতনই নয়, বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি নারী ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথাও ভাবছে বোর্ড।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের কাছে বিসিবি নারী কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটাররা টেস্টের ম্যাচ ফি হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় ছয় লাখ, ওয়ানডে ম্যাচে তিন লাখ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই লাখ টাকা করে পান। যেখানে নারী ক্রিকেটাররা ওয়ানডেতে ম্যাচ ফি হিসেবে পান ১০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৮৫০০ টাকা) আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ ফি হিসাবে পান মাত্র ৭৫ ডলার।
বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটারদের তুলনায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ও ম্যাচ ফি অনেক কম। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে পুরুষ ক্রিকেটারদের মতো নারীদের ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী। তবে বেতন ও ম্যাচ ফি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।
শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী বলেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে এবং আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। আমরা পুরুষদের মতো নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়াতে পারি না। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি হিসাবে নারীরা বর্তমানে যা পায় (১০০ মার্কিন ডলার) তার সাথে আমি একমত নই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা খুব কম, এটিকে আমরা ৪০০ ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
নারী ক্রিকেটারদের বেতন ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফি বাড়ানোর পাশাপাশি ১০-২০ শতাংশ চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বেতন দিয়ে সত্যিই নারী ক্রিকেটারদের টিকে থাকতে অসুবিধা হয়। তবে আমরা রাতারাতি কঠোর পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’
চার ক্যাটাগরিতে (এ, বি, সি, ডি) মোট ২০ জন নারী ক্রিকেটার বিসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজার টাকা। আর বি, সি ও ডি ক্যাটাগরিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের বেতন যথাক্রমে ৪০, ৩০ ও ২০ হাজার টাকা।
খুলনা গেজেট/এএমআর