নারীর ব্যস্ততা কখনো কমে না। বর্তমানে বেশিরভাগ নারীই কর্মজীবী। তবে শুধু অফিস করেই তারা মুক্তি পান না, বাড়িতে ফিরেও সামলাতে হয় সংসারের কাজ। আবার যে নারী গৃহিণী, তার কাজও কোনো অংশে কম নয়। এতদিকে খেয়াল রাখেন ঠিকই, কিন্তু তারা নিজের দিকেই খেয়াল রাখতে ভুলে যান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি তারা গ্রহণ করতে পারেন না। এর বড় কারণ হলো সচেতনতার অভাব। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন খাবার সম্পর্কে যেগুলো নারীর জন্য উপকারী এবং খাওয়া জরুরি-
১. পালং শাক
এই সবুজ শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে কাজ করে। সেইসঙ্গে পালংশাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং এটি নারীর জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।
২. মসুর ডাল
মসুর ডাল হলো সবচেয়ে সহজলভ্য খাবারগুলোর একটি যা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। মসুর ডাল প্রোটিনের দিক থেকে যেকোনো উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সুতরাং এটি খাবারের তালিকায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীর জন্য।
৩. ওটস
স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হলো ওটস। এটি দৈনন্দিন শক্তির চাহিদা পূরণে কাজ করে। এতে অন্যান্য শস্যের তুলনায় বেশি প্রোটিন এবং চর্বি থাকে এবং স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উদ্ভিদ যৌগে ভরপুর। তাই নারীর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ওটস রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. দুধ
কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। যা অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। দুধ ক্যালসিয়ামের একটি দারুণ উৎস এবং এটি আপনাকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে পারে। এছাড়াও দুধে থাকে প্রোটিন, ফসফরাস, বি ভিটামিন কমপ্লেক্স, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। তাই নারীর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো দুধ।
৫. ব্রোকলি
ক্রুসিফেরাস উদ্ভিজ্জ পরিবারের এই সবজি নারীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে একটি। কারণ এটি আপনাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রোকলি শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস করে যা ক্যান্সারের কারণ হিসাবে পরিচিত, বিশেষ করে স্তন এবং জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ব্রোকলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, এটি হাড় সুস্থ রাখতে কাজ করে।
৬. বিটরুট
বিটরুটে প্রচুর আয়রন রয়েছে। এটি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। বিটরুট খেলে তা অন্ত্রকে সুস্থ রেখে পরিপাকতন্ত্রকে সুগম করে। বীটরুট এবং এর রস রক্ত প্রবাহের উন্নতি করে। এতে অজৈব নাইট্রেটের উপস্থিতির কারণে এই সুবিধা পাওয়া যায়। বিটরুট এবং এর পাতা সুপারফুড হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
৭. বাদাম
বাদাম হলো একটি প্রিবায়োটিক খাবার। যার অর্থ হলো এটি পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় প্রোবায়োটিক তৈরি করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ বাদামে ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে এবং এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
খুলনা গেজেট/এনএম