একজন নারীকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। ঘরের কাজ, কর্মজীবন, সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে সামাজিক দায়বদ্ধতা। সব মিলিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীরা তুলনামূলকভাবে মানসিক চাপে বেশি ভোগেন। এ বিষয়ে ভারতীয় পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ সাজিলি মেহতা বলেছেন যে, ‘নারীদের অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায় যা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো গুরুত্বপূর্ণ হরমোনগুলিকে ভারসাম্যহীন করে তোলে।
মেহতা উল্লেখ করেছেন যে এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে অনিয়মিত চক্র, ওজন বৃদ্ধি, অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজ এবং এমনকি পিসিওসসহ আরো নানান দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা। তিনি আরো বলেন, এই হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক করা যেতে পারে জীবনযাত্রার ধারাবাহিক কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে:
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঠিক করতে প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ম্যাগনেসিয়াম, গুড ফ্যাট এবং বি-ভিটামিনে সমৃদ্ধ খাবার খান যা হরমোনের পাশাপাশি শরীরের জন্যেও উপকারী।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার কাটার মতো শরীরচর্চা শরীরে কর্টিসলের মাত্রা কমাতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫. নিজেকে সময় দিন
নিজের আনন্দকে অগ্রাধিকার দিন সমসময় প্রোডাক্টিভ হতে হবে এমন নয়।
ড. মেহতা বলেন, “স্ট্রেস হরমোন আপনার জীবনযাত্রা, অনুভূতি এবং মোকাবেলার প্রতিফলন ঘটায়। তাই জীবনযাত্রার এই ছোট ছোট পরিবর্তন মানসিক চাপ এবং হরমোনের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
খুলনা গেজেট/এসএস