মেয়েদের আইপিএলের তৃতীয় আসরে খেলতে ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার অল রাউন্ডার জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন। উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি নারীদের আইপিএল নামে খ্যাত। ভারতে অনুষ্ঠিত গত আসরে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পেসার জাহানারা। করেছিলেন দুর্দান্ত বোলিং। এবার তার সঙ্গী হচ্ছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
বিসিসিআই নির্বাচক প্যানেল থেকে বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে আসন্ন আসরের জন্য জাহানারা ও সালমাকে চেয়েছে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন বিসিবির উইমেনস উইং ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে জাহানারা ও সালমা ২১ অক্টোবর ঢাকা ছাড়বেন। তার আগে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় হবে কোভিড-১৯ টেস্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় ৪ থেকে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তিন দলের আসরটি। কাগজে-কলমে উইমেনস টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জ হলেও মেয়েদের আইপিএল হিসেবেই বেশি পরিচিত এটি।
জাহানারার এই সুপার সুইং ডেলিভারিটি ‘বেস্ট বল অব দ্য আইপিএল’ হয়েছিল গতবার
কোরবানির ঈদের পর থেকেই খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে যাচ্ছেন সালমা। টাইগ্রেস অলরাউন্ডার ঢাকায় আসবেন আগামী ১২ অক্টোবর।
প্রথমবার আইপিএলে ডাক পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সালমা। এ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘অনেক বড় একটা সুযোগ এসেছে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগে সমান গুরুত্ব দিয়ে অনুশীলন করছি। সব ধরণের সুযোগই পাচ্ছি এখানে। ইনডোর, জিম, টার্ফে ব্যাটিং-বোলিং করার সুবিধাও পাচ্ছি।’
এদিকে ডাক পাওয়া আরেক নারী ক্রিকেটার জাহানারা বলেন, ‘বোলিং আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। পাঁচটা মাস ঘরে বসে থাকায় স্কিলে প্রভাব পড়েছে অনেকটা। কেউ কেউ অনেক দিন পর বল করেই সুন্দর জায়গায় বল ফেলে। আমার ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। অনেক পরিশ্রম করতে হয় ছন্দে ফিরতে। আগে ১২০ কিলোমিটার বেগে বল করতাম। এখন হয়ত ১১৫ তে করি।’
“তবে ভালো ব্যাপার, গতি একটু কমলেও সুইং পাচ্ছি। ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য বিসিবি আমাদের ব্র্যান্ড নিউ বল দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির কারণে সবাই আলাদা আলাদা বল ব্যবহারে করছে। তাতে বেশ সুইং পেয়েছি। ইয়র্কার নিয়ে কাজ করছি। সব মিলিয় পরিবর্তনটা টের পাচ্ছি। ফিটনেস আগের মতো আছে বলব না। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি আগের অবস্থায় ফেরার।’’
মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসার পর করোনার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় মেয়েদের। থমকে যায় অনুশীলনও। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিভাগীয় স্টেডিয়ামগুলোতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও অনুশীলনও শুরু হয়। নভেম্বরে মেয়েদের ঘরোয়া লিগ আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি।
খুলনা গেজেট/এএমআর