ফরচুন বরিশালের পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সুনীল নারাইনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। ৩৮ বলের মোকাবেলায় তিনি হাঁকান তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। এছাড়া দুটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ বলে ৩৩ রান করেন আকবর আলী।
৫০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর মিরাজ ও আকবরই ধরেছিলেন দলের হাল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েন ৬১ রানের পার্টনারশিপ। কুমিল্লার পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মঈন আলী ও শহিদুল ইসলাম।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। এরপর ক্রিজে এসে তাণ্ডব শুরু করেন সুনীল নারাইন। মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে গড়েন বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড। পাওয়ারপ্লেরতেই সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৬ বলে করেন ৫৭ রান, হাঁকান পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কা।
বিপিএলে পাওয়ারপ্লেতে কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি। নারাইনের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে কুমিল্লা জড়ো করে ৮৪ রান, যা বিপিএলে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
নারাইনের বিদায়ের পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকেও বিদায় নিতে হয় (২৪ বলে ২২ রান)। তবে দুই বিদেশি তারকা ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলী দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
মারকুটে ব্যাটিং অব্যাহত রেখে দুজনে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৪৯ বল ও ৭ উইকেট রেখে। মঈন ১৩ বলে তিন ছক্কা ও ২ চারে ৩০ এবং ডু প্লেসি ২৩ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৪০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়ায় এটাই বিপিএলের দ্রুততম জয়ের (ওভারের দিক থেকে) কীর্তি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৪৮/১০ (১৯.১ ওভার)
মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, জাকির ২০, জ্যাকস ১৬, মৃত্যুঞ্জয় ১৫
মঈন ২০/৩, শহিদুল ৩৩/৩, মুস্তাফিজ ১৩/১
জয়ের জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৪৯/৩ (১২.৫ ওভার)
নারাইন ৫৭, ইমরুল ২২, মঈন ৩০*, ডু প্লেসি ৩০*
হাওয়েল ১১/১, শরিফুল ৩১/১
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী।
খুলনা গেজেট/ এস আই