কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে ওই দুই যুবকের পরিবার।
শনিবার (১৮ মে) বিষয়টি জানিয়ে টেকনাফ থানা ও বিজিবি-২ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অপহৃত ক্যমংখো তঞ্চঙ্গ্যার মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা।
অপহৃতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ড লম্বাঘোনা মৃত ওচামং চাকমার ছেলে ছৈলা মং চাকমা (২৯) ও মংথাইংছিং তঞ্চঙ্গ্যা চাকমার ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফ নদের ৫ নম্বর স্লুইসগেট এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার ছেলে ও নাতি নাফ নদে কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কাঁকড়া ধরার জন্য নাফ নদে যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি নাফ নদ থেকে আরসার সদস্যরা ছেলে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এখনও তিন দিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।
অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা বলেন, ‘কাঁকড়া আহরণ করতে গেলে হোয়াইক্যংয়ের ৫ নম্বর স্লুইসগেট পয়েন্ট থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। পরে জানতে পারি তারা আরসার সদস্য। এখন পর্যন্ত কোনও মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।’
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘দুজন চাকমা যুবক নিখোঁজের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
টেকনাফ বিজিবি-২’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি। তাদের কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।’
খুলনা গেজট/কেডি