সুপার টয়েলভে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে দুই ওপেনার নাঈম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেও কাজে লাগিয়েছে এই দুই ওপেনার। লিটন সাজঘরে ফেরার পর নাঈমের সঠিক সঙ্গ দেয় মুশফিক। নাঈম ও মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭১ রান। এই ম্যাচ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রান করতে হবে।
শারজায় টস জিতলে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা টস জিতলেও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়েই পাঠান। লিটন দাসকে নিয়ে এদিন দারুণ শুরু এনে দেন নাঈম।
১৬ বলে ১৬ রান করে দুটি চার হাঁকানো লিটন বিদায় নিলেও হাল ধরে রাখেন নাঈম। যদিও ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ৭ বলে লিটনের সমান দুটি চার হাঁকিয়ে ১০ রান করে বিদায় নেন তিনি। তার বিদায়ে ক্রিজে নেমে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করা মুশফিকুর রহিম দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
৪৪ বলের মোকাবেলায় নাঈম পূর্ণ করেন আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক। অন্য প্রান্তে মুশফিক চালিয়ে যান মারকুটে ব্যাটিং। তার সাথে যোগ দেন নাঈমও। তবে নাঈমকে সাজঘরে ফিরতে হয় ১৭তম ওভারে। বিদায়ের আগে ৫২ বলের মোকাবেলায় ৬২ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার, হাঁকান ৬টি চার।
নাঈমের উইকেটের পতনে ক্রিজে পাঠানো হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। দ্রুত রান তোলার চাহিদা মেটানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তবে সুবিধা করার আগেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে থামে ৬ বলে গড়া ৭ রানের ইনিংস। আফিফের সঙ্গ কাজে লাগিয়ে ৩২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশফিক (যা বিশ্বকাপে কোনো বাংলাদেশির তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক)। রানে ফেরার দিনে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে পালন করেছেন বড় ভূমিকা।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭১ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে। মুশফিক ৩৭ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২টি চার হাঁকিয়ে ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন চামিকা করুনারত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা।