সারাদেশে সরকারের ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা প্রকল্পের মধ্যে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে গত ৩০ অক্টোবর সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন। তার মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে একটি অবস্থিত। যদিও এই মসজিদটি এখনও সম্পূর্ণ ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠেনি। তবে ডুমুরিয়া কলেজের পূর্ব পাশে ওই মসজিদটির সামনে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের দক্ষিণে একটি নর্দমা রয়েছে। আর সে কারণে মসজিদে জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান বা সোজা কোনো রাস্তাই তৈরি হয়নি। ফলে মসজিদটি সৌন্দর্য হারাচ্ছে। আর ওই গভীর নর্দমাটির জন্য ১৬ কোটিও অধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারের এত বড় দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটির বহুমাতৃক ব্যবহারও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
এ প্রসঙ্গে মডেল মসজিদের পশ্চিম পাশে চা দোকানদার শফিকুল ইসলাম বলেন, এই মসজিদে নামাজিদের ওঠা-নামার জন্য এত বড় একটা সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই সোজা কোনো রাস্তা তৈরি না হওয়ায় মসজিদটি একেবারে কাঁনা হয়ে পড়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মসজিদের সামনের গর্তটি ভরাট করলে ওই চত্ত্বরে আমাদের এলাকার ঈদের ও জানাজা নামাজ পড়ার একটা বড় পরিসর তৈরি হতো। মসজিদ সংলগ্ন ডুমুরিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার আকাঙ্খা, মসজিদের সামনের নর্দমা ভরাট করে রাস্তা ও একটা বড় ফুলের বাগান করা হোক। তাহলে যে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সৃষ্টি হবে, তা দেখে এলাকার মানুষ মুগ্ধ হবেন।
এ মসজিদের তদারকি কর্মকর্তা খুলনা গণ-পূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর মন্ডল বলেন, মসজিদের রাস্তা ও বাউন্ডারী ওয়ালের কাজ এখনও বাকি আছে। যেহেতু সওজ’র জায়গা, তাই তাদের সঙ্গে কথা বলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, আমরা সম্পূর্ণ ক্যানেলটি ভরাট করতে চাই না। প্রয়োজনে মসজিদের সামনে একটা কালভার্ট তৈরি করে দেবো।
তবে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, ওখানে ভরাট-সহ যা করলে সুন্দর হবে, তাই করে দেবো।
খুলনা গেজেট/এনএম