তিন এজেন্ডা নিয়ে আজ প্রথম বৈঠকে বসছে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ভোটার তালিকা প্রস্তুত, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে পাওয়া আপত্তিসহ চার নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চার কমিটি গঠন বিষয় আজকের বৈঠকের এজেন্ডায় রেখেছে ইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় এ বৈঠক হবে।
এর আগে ২৪ নভেম্বর দেশের চতুর্দশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে শপথ নিয়েই ‘ভালো নির্বাচনের’ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘আশ্বস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। আমি কনফিডেন্টলি বলতে পারি, ভালো নির্বাচন হবে।’ এ সময় সিইসি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে জনগণের সহযোগিতাও কামনা করেন।
ওই দিন দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে শপথ নেন চার কমিশনার সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্মসচিব তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। শপথ নিয়েই তাঁরা দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ভবনে যান। দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচন কমিশন ইসি বিটের সাংবাদিক এবং ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কমিশন গত বুধবার এক বৈঠকে বসে নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনকানুন পর্যালোচনা করেছে।
তারা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছে। জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তৈরি হবে নতুন ভোটার তালিকা। বছরব্যাপী যারা ভোটার হয়েছেন তাদের যুক্ত করে আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর সেই ভোটার তালিকার বিষয়ে কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সূত্র জানান, সবাই যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে সে পদক্ষেপ নিচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রথম ধাপ হচ্ছে ভোটার তালিকার শুদ্ধতা। তাই এবারে শুদ্ধভাবে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে নির্বাচন কমিশন।
খুলনা গেজেট/এইচ