আতশবাজি বা ফায়ারওয়ার্কসের আলোতে মধ্যরাতের আঁধার কেটে গেল। তার মধ্য দিয়ে উঁকি দিল নতুন আরও একটি বছর ২০২৩। এরই মধ্যে এ বছরকে বরণ করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার কারণে প্রথমে দিনের সূত্রপাত হয় এসব দেশে। ফলে এই রিপোর্ট লেখার সময় এসব দেশে মধ্যরাতের আকাশ আলোয় আলোয় সয়লাব। মানুষ উন্মুক্ত স্থানে সমবেত হয়ে দেখছেন নয়নাভিরাম আতশবাজির উৎসব। ২০২৩ সালকে প্রথমেই যেসব দেশ বরণ করে নিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম নিউজিল্যান্ড। তারা অকল্যান্ড হারবার ব্রিজে, স্কাই টাওয়ারে আলোর খেলায় মেতেছে। এ দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেন। তিনি গত বছর করোনা মহামারির বিধিনিষেধের কারণে বর্ষবরণ বাতিল করতে বাধ্য হন।
কিন্তু এ বছর তা নেই। ফলে মধ্যরাতে নতুন বর্ষবরণ করতে ক্রমাগত চলছিল ফায়ারওয়ার্ক। এর দু’ঘন্টা পরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় বর্ষবরণ।
সেখানে আইকনিক সিডনি হার্বার ব্রিজে অবর্ণনীয় আলোক উৎসবে মেতে ওঠে মানুষ। সিডনি অপেরা হাউজ, হারবার ব্রিজে আলোর এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে অনেক আগে থেকেই জড়ো হন কয়েক লাখ মানুষ। সিডনি হারবার ব্রিজ থেকে কমপক্ষে ৭ হাজার ফায়ারওয়ার্ক উপস্থাপনা করা হয়। অপেরা হাউজের কাছে প্রায় দুই হাজার ফায়ারওয়ার্ক উপস্থাপন করা হয়। এর কয়েক ঘন্টা পরে বর্ষবরণ হওয়ার কথা চীন ও জাপানে। বেইজিংয়ের ঐতিহাসিক গ্রেটওয়ালে নানা আয়োজন করা হয়েছে। সাংহাইয়ে বান্ড ওয়াটারফ্রন্টে জমায়েত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ডিজনিল্যান্ডে প্রদর্শন হবে ফায়ারওয়ার্ক। একটানা তৃতীয় বছরের মতো টোকিওর শিবুয়া ক্রসিংয়ে নতুন বছরের বিখ্যাত কাউন্টডাউন বাতিল করেছে জাপান। এ ছাড়া বিশ্বের দেশে দেশে চলছে এর প্রস্তুতি। পূর্ব থেকে যত পশ্চিমে যে দেশ, তত দেরিতে সেখানে দিনের সূচনা হবে। ফলে উৎসব চলতে থাকবে পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘন্টা।