নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালকে (৪৯) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন তিনি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিকদার মোস্তফা কামাল মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত আকরাম শিকদারের ছেলে। তিনি লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর একটি শালিস বৈঠকে যোগদানের জন্য লোহাগড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন। এরপর তিনি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সমির সিকদারের বাড়ির সামনে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি মোটরসাইকেল নিতে আসলে সিকদার মোস্তফা কামালকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত জনগণ আহত সিকদার মোস্তফা কামালকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। লোহাগড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই এলাকায় পুলিশের একাধিক টিম আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযুক্তদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে রাত ৯ টার দিকে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বাড়ির এলাকায় একই সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বিতীয় দফার গুলিতে দুজন আহত হয় বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান।
উল্লেখ্য যে, নব্বই দশকে চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামালের আপন বড় ভাই তৎকালীন মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ সিকদারকে একই স্থানে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। বড় ভাই সিরাজ শিকদারের হত্যার পর থেকে ছোট ভাই সিকদার মোস্তফা কামাল একাধারে পর পর চারবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
খুলনা গেজেট/কেডি/এনএম