নড়াইলের লোহাগড়ায় যুবদল কর্মী বালু ব্যবসায়ী সালমান খন্দকার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (১১ মে) সকালে নিহতের ছোট ভাই নাহিদ খন্দকার বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে মশিয়ার মোল্যাকে রোববার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে এ হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে লোহাগড়ায় বিএনপি ও যুবদল।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যার আগে লোহাগড়া শহরে লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আহাদুজ্জামান বাটুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি মিলু শরীফ, সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান সান্টু, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা লাক্সমী প্রমুখ।
জানা যায়, নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে ইউনিয়ন যুবদল কর্মী সালমান খন্দকার (২৬) বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে স্থানীয় বন্ধুদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর মধুমতি নদীর পাড়ে পিকনিক করতে যায়। এর মধ্যে রাত ১১ টার দিকে বাড়িতে ফিরলেও মোটরসাইকেল নিয়ে আবার বেরিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার সকালে কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে পুলিশ তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান বলেন, সালমান হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারভূক্ত ২০ জন এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে আসমিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মূহুর্তে কারো নাম জানানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো সে হত্যার বিষয়ে মুখ খোলেনি। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এএজে