জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শুক্রবার(২৩ মে) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘নজরুল উৎসব-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, গান ও সাহিত্য প্রতিটি প্রজন্মের জন্যই প্রাসঙ্গিক। তাঁর সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তরুণ সমাজ। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ ও যুব সমাজের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা ও সঙ্গীত। তবে নজরুলকে শুধু দ্রোহের কবি হিসেবে দেখলে তাঁর সাহিত্যিক বৈচিত্র্য ও গভীরতা অবমূল্যায়িত হয়। তিনি ছিলেন প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি ও সাম্যের কবি- একই সঙ্গে মানবতার কণ্ঠস্বর। তাঁর সাহিত্য যুগে যুগে চর্চিত হয়েছে এবং তা আজও অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। মুখ্য আলোচক হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সংগীতের উপর প্রাঞ্জল আলোচনা করেন বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. দুলাল হোসেন।
নজরুল উৎসব-২০২৫ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাতের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মাহমুদ আলম। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী প্রদীপ মহন্ত ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ভার্ঘব বন্দোপাধ্যায়।
সভা সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সেলিম পারভেজ ও প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী খায়রুন নাহার। আলোচনা সভার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অতিথি শিল্পীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে