খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পাক হানাদার বাহিনী সরাসরি বাঙালির সাথে পরাজিত হয়ে রাতের আধাঁরে অন্ধকার পথে জাতির পিতার উপর আঘাত হানে। তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে শিশু রাসেল পর্যন্ত তারা হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, শত্রুপক্ষরা ভেবেছিলো শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে আবার ঘুরে দাড়াবে। সে কারনেই তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আজ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে প্রতিশোধ নেয়নি। তিনি আইনের মাধ্যমে দেশের সকল হত্যা মামলার রায় আদালতের মাধ্যমে ন্যায় সঙ্গত বিচার করেছেন। সারা বিশ্ব এ হত্যা মামলার রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিচার হয়েছে, কিন্তু আমরা আজ আর মেধাবি রাসেলকে আর ফিরে পাবো না। রাসেলের মত একজন মেধাবি সন্তান বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশের অবস্থা আরো আগে ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো। বঙ্গবন্ধু’র যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে রেখেও দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শোষনমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। ওই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভা পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, নুর ইসলাম বন্দ, শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, শেখ নুর মোহাম্মদ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যা. রুনু ইকবাল, মো. মোতালেব মিয়া, রনুজিত কুমার ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আকিল উদ্দিন, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, রফিকুল ইসলাম পিটু, মো. মোক্তার হোসেন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, নজরুল ইসলাম দুলু, মামনুন রশীদ, আব্দুর রহীম, মোস্তফা কামাল আহমেদ, জব্বার আলী হীরা, মাহমুদুল হাসান রাজেশ, মো. রুম্মান আহম্মেদ, মো. আলী হোসেন সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেএম