বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠার জনপ্রিয়তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে অন্য সময়ে কম বেশি পিঠা বানালেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তা তৈরিতে ধুম পড়ে গেছে।
এদেশে শীতকাল হলো পিঠা বানানোর আদর্শ সময়। নবান্নের মধ্য দিয়ে গ্রামে পিঠাপুলির উৎসব শুরু হলেও শহরে শীতের আমেজ এনে দেয় রাস্তার মোড়ে ধোয়া ওঠা ভাপা কিংবা চিতই পিঠা। এছাড়া রয়েছে পুলি, পাটিসাপটা, ভাজা পিঠা, নকশী পিঠা। পৌষের বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন মোড়ে আর অলিতে গলিতে এসব পিঠার দেখা মিলছে।
সরকারি চাকুরিজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় মাঝে মধ্যেই পিঠার দোকান দেখে দাড়িয়ে যাই। ছোটবেলা মা যখন পিঠা বানাতো চুলার পাশে বসে থাকতাম। শহুরে জীবনে ফাস্টফুডের যাতাকলে পিঠার দেখা পাওয়া যায় শুধু এই শীতকালেই। কিন্তু বাঙালির কাছে এখনো পিঠার কদর আছে।”
ময়লাপোতার পাশে বটতলার মোড়ের পিঠা বিক্রেতা রফিকুল জানাান, “বিকাল থেকেই তিনি এখানে দাড়িয়ে ভ্যানের উপর পিঠা বিক্রি করেন। রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত চলে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ধোয়া ওঠা ভাপা পিঠার। অনেকেই আবার ধনিয়া পাতা বা সরিষা বাটা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে পছন্দ করেন।”
পিঠা তৈরীর উপকরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চালের গুড়া, গুড় এবং নারকেল। রাস্তার পাশে কিংবা উন্মুক্ত স্থানে তৈরি করা এসব পিঠা খেতে সুস্বাদু হলেও খোলা জায়গায় পিঠাগুলো বানানো হয়, ফলে কিছুটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন