খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ৭টি ওয়ার্ডে আগামী ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর কর্মীসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরমধ্যে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের রূপসা ব্রিজ চত্ত্বরে ২৮, ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ড এবং মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) গল্লামারীতে বিকাল সাড়ে ৪টায় ১৮, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে অংশগ্রহনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সাম্প্রদায়িক, প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি আবারও মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে। দেশকে আবার তারা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাতিগতভাবে আমরা এখনও সকল সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারিনি। তাই বিজয়ের মাসে এসকল অপশক্তিকে জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করতে নতুন প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। এসব অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদেরকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের কারণেই ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে। তারা আছেন বলেই আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। এসব তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলীয় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ কামাল, খন্দকার মজিবর রহমান, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, মাহবুবুল আলম বাবলু মোলা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর শেখ গাউসুল আজম, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম মিঠু, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, পারভিন ইলিয়াছ, নূরীনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. জাহিদুল হক, চ. ম মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আব্দুল আজিজ, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, সরদার আব্দুল হালিম, মীর মো. লিটন, মো. মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. ইউসুফ আলী খান, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. শিহাব উদ্দিন, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ প্রমূখ।