খুলনার লবণচরা এলাকার সোহাগ পাটোয়ারী (৩৬)হত্যাকাণ্ডের ৭ ঘন্টার ব্যবধানে রহস্য উদঘাটন ও তার ঘাতকদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সোহাগ গল্লামারী এলাকার ১৮১, ৪নং কাশেম সড়কের বাসিন্দা আব্দুল মালেক পাটোয়ারীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পশ্চিম বানিয়াখামার আলকাতরা মিলের পেছনের মৃত ডাক্তার মোমেন উদ্দিন ওরফে মমিন শেখের ছেলে মোঃ মালেক (৩৭), লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকার মাহাতাব শেখের ছেলে মোঃ সোহাগ (২০) ও একই এলাকার শাহজাহানের ছেলে মোঃ হাসিব (২১)।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে নবাগত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
পুলিশ কমিশনার জানান, স্থানীয় মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিন আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করেছেন। নিহত সোহাগ ও আসামীরা একাধিক মামলার আসামী। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, সোহাগ পাটোয়ারী সোমবার রাতে মটর সাইকেলে বাসায় ফেরার পথে লবণচরার সবুজ পল্লী প্রধান সড়কের বাহারের বাগান বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মটরসাইকেল থামিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। তার হাত পায়ের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে জখম অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি