খুলনা মহানগরীতে মশার ব্যাপক উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরবাসী দারুন কষ্টের মধ্যে আছে। বর্ষাকালে কিছুটা মশার বিস্তার কমলেও শীত মৌসুমের শুরুতে মশার উৎপাত বেড়েছে। মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের তেমন কোন কার্যক্রম না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই মানুষ নানান শারিরীক অসুস্থতার মধ্যে আছে। এছাড়া শীতের শুরুতে বয়স্ক ও শিশুরা ফ্লুতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে মশা এখন রাতে ছাড়াও দিনে কামড়ানোর কারণে শিমু কিশোরদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে ও বৃদ্ধরা কষ্ট পাচ্ছে। মশার উৎপাত রোধে মশার কয়েল ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নগরবাসীকে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা করতে নগরীতে দ্রুত মশক নিধন অভিযান পরিচালনার পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নগরীর আবর্জনা পরিস্কার, এই শীত মৌসুমে নগরীর সকল ড্রেন থেকে সকল আবর্জনা অপসারণ, মশার বংশ বিস্তার রোধে ড্রেনে ঔষধ দেয়া ও উড়ন্ত মশারোধে তিনমাস অব্যাহতভাবে স্প্রে করা। একই সাথে নগরীর বাড়ীতে যেয়ে ময়লা সংগ্রহ কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর দাকি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এমএম