নগরীতে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধারকৃত যুবকের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। নিহত ওই যুবক বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাড়ইখালী এলাকার বাসিন্দা আশরাফ আলী মোল্লার ছেলে নাঈম মোল্লা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় লবণচরা থানার এসআই মো. বেল্লাল হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
মৃত যুবকটির পরিচয় নিশ্চিত করছেন লবণচর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মো. ইউসুফ আলী।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ওই যুবককে প্রায় লবণচরা শিবইয়ার্ড মেইন গেটের সামনে হাজী মো. মোশারফ হোসেনের বাড়ির সামনে প্রায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। তবে কি কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে এ সম্পর্কে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।
সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকটির চাচাতো ভাই খুলনার শিপইয়ার্ড এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাঈমের মরদেহের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর তিনি থানায় যোগাযোগ করেন। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হয় এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ময়না তদন্ত শেষে শনিবার (২৪ মে) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে মৃত ওই যুবকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে কোন কিছু প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি আরও জানান।
উল্লেখ্য, লবণচরা থানার শিপইয়ার্ড মেইন গেটের সামনে হাজী মো. মোশারফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে কুকুরের ডাক-চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি বাড়ির পেছনের পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখেন হাত-পা বাধা এবং মাথা ও মুখ মন্ডল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে রয়েছে। এমন অবস্থা দেখে তিনি প্রথমে বিষয়টি লবণচরা থানাকে অবগত করেন।
খুলনা গেজেট/সাগর/এএজে