‘সব তো পুড়েই গেছে, কিছুই তো আর নাই। এখন দু-চারটে জিনিস যেগুলা ঠিকঠাক আছে সেগুলা সরিয়ে নিচ্ছি। এতে তো আর আমাদের ক্ষতির কোনো পূরণ হবে না।’
ডেমরার ভাঙ্গাপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমন এভাবেই তার হতাশা প্রকাশ করছিলেন।
ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার ক্রীড়াসামগ্রীর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় একটি গোডাউনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। এরপর ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। শুক্রবার সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনের তীব্রতা কমে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীর একত্রে ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া মালামালগুলো বের করতে থাকেন। অধিকাংশ পণ্য পুড়ে গেলেও অল্প কিছু পণ্য অগ্নিকাণ্ডের কবল থেকে রক্ষা পায়। সেসব পণ্যই বসে বসে আলাদা করছিলেন সুমন।
তিনি বলেন, যেসব পণ্য বেঁচে গেছে সেগুলো আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছি। যদিও তার পরিমাণ খুব কম। আমার প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল এই গোডাউনে। সব শেষ হয়ে গেল।
একইভাবে মালামাল সরাচ্ছিলেন আরেক কর্মী বিল্লাল। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামে আমার মালিকের দোকান। গোডাউনেই সব মালামাল রাখা হতো। কিন্তু এভাবে সব পুড়ে যাওয়ার পর মালিক বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। এতো বিশাল ক্ষতি তো সামলানো সম্ভব না। যেসব মাল পোড়েনি, সেগুলো নিয়ে যাচ্ছি।
ব্যবসায়ীর বলছেন,অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৫০ কোটি টাকা।
খুলনা গেজেট/ এএজে