আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের সফলতম অধিনায়কের পথেই হাঁটলেন সুরেশ রায়না। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ স্পিন অলরাউন্ডারও শনিবার রাতে অবসরের ঘোষণা দেন।
ইনস্টাগ্রামে রায়না অবসরের ঘোষণা দিয়ে লিখেন,‘আপনার সাথে খেলার থেকে মধুর স্মৃতি আর হতে পারে না। অন্তরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে। আমি আপনার সফরে নিজেকে শরিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ ভারত।’
ধোনির দলের সবচেয়ে বড় টামকার্ড ছিলেন রায়না। তাকে লাইমলাইটে আনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা ধোনির। জাতীয় দলের পাশাপাশি ধোনি ও রায়নার জমাট জুটি চেন্নাই সুপার কিংসেও বিস্তৃত। আইপিএলের শুরু থেকেই এ দুই ক্রিকেটার একসঙ্গে খেলছেন। এবার অবসরেও গেলেন একসঙ্গে।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনির দলে ছিলেন না রায়না। অবশ্য দুই বছর আগেই তার অভিষেক হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রায়না ছিলেন দলের অপরিহার্য সদস্য। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
নিজের টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকালেও রায়না সাদা পোশাকে ক্যারিয়ার লম্বা করতে পারেননি। মাত্র ১৮ টেস্ট খেলেছেন তিনি। এছাড়া ২২৬ ওয়ানডে এবং ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ভারতের জার্সিতে। ওয়ানডেতে রান করেছেন ৫৬১৫ ও টি-টোয়েন্টি ১৬০৫। বল হাতে ওয়ানডেতে ৩৬ উইকেট এবং টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ১৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন।
ধোনির অনুপস্থিতিতে রায়নার নেতৃত্বে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত। সেবার তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ২০১৮ সালের পর ভারত দলে জায়গা হয়নি রায়নার। এর আগের বছরই বাদ পড়েন ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতে যতটা আনন্দদায়ক ছিল, ক্যারিয়ারের শেষটা ততটাই বিষাদময়।
খুলনা গেজেট/এএমআর