খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
  নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

ধেয়ে আসছে শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মিল্টন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন (ঘূর্ণিঝড়) মিল্টন। খুব শিগগির শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে উপকূল ভাগে আছড়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ ট্যাম্পা বে অঞ্চলে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জরুরি প্রস্তুতি সারছেন মার্কিন এই রাজ্যের লাখ লাখ বাসিন্দা। কেউ বা সব কিছু রেখেই এলাকা ছাড়ছেন।

বিবিসির খবর অনুযায়ী, হারিকেন মিল্টন বর্তমানে ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার একটি ঘূর্ণিঝড়। এর ভয়াবহ বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল বা ২৭০ কিলোমিটার। এটি বুধবার রাতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হেলেনের পর রাস্তায় পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ বাতাসের সঙ্গে উড়ে বিধ্বংসীভাবে আঘাত হানতে পারে। মিল্টনের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫ ইঞ্চি (৩৮ সেমি) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা যেতে পারে।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ফ্লোরিডার মানুষজনকে তাদের বাড়িঘর ছাড়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘূর্ণিঝড়কে তিনি ‘জীবন ও মৃত্যুর বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ঝড়টি ফ্লোরিডার শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

মিল্টনের প্রস্তুতি এবং হারিকেন হেলেনের চলমান পুনরুদ্ধারের তদারকি করার জন্য জার্মানি ও অ্যাঙ্গোলায় পরিকল্পিত সফর বাতিল করার কথাও জানান জো বাইডেন।

মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ভয়াবহ হারিকেন হেলেন দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ক্যাটরিনার পর থেকে মার্কিন মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় এটি। এতে অন্তত ২২৫ জন মানুষ নিহত হন। শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। শুধু ফ্লোরিডায় অন্তত ১৪ জন মারা গেছেন।

ওই হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। একইসঙ্গে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শত শত রাস্তা ডুবে যায়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!