মাঠের লড়াইয়ে ফেরার শুরুটা করেছিলেন পছন্দের তিন নম্বর পজিশন থেকে। সুবিধা করতে না পারায় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ নিলেন। টানা দুই ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিব আল হাসান বুঝে গেলেন, এখানে সম্ভব নয়। তাই গতকাল শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নামলেন চার নম্বরে। পজিশন পাল্টালেও সাকিবের ভাগ্য বদলাচ্ছে না। আজও হাসেনি এই অলরাউন্ডারের ব্যাট।
সাকিবের এমন পারফরমেন্সে মাঠের বাইরেও যেমন আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তেমনি মাঠেও সাকিবের শারীরিক ভাষা সাহায্য করছে সেইসব সমালোচনাকে এগিয়ে নিতে। কিছুদিন আগেই নিষিদ্ধ সাকিবকে নিয়ে যতটা আগ্রহ ছিলো সাধারণের। দেশে ফিরে নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তার প্রতি কিছুটা হলেও মনোক্ষুন্ন তার ভক্তরা। তারপরও সাকিবের ফ্যান ফলোয়াররা ভেবেছিলেন মাঠেই সব কিছুর জবাব দিবেন সাকিব। ব্যাট ও বল হাতে জ্বলে উঠবেন বাইজ গজে। কিন্তু মাঠের সাকিব একেবারেই অপরিচিত। সাকিবের বডি ল্যাংগুয়েজ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে কোনো না কোনো কারণে বেশ চাপে রয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের ব্যাটিং সমীকরণ দেখলেও বোঝা যায় কতটা পিছিয়ে গেছে সাকিব। হয়তো অনেকেই বলবে সাকিব নিষিদ্ধ ছিলেন বলেই এতো দ্রুত ফিরে আসতে পারছেন না আগের রূপে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় দেশের সব ক্রিকেটার ঘরবন্দি ছিলো এই এক বছর। করোনার কারণে তারাও নিজেদের ক্রিকেটের বাইরে রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এতো সঙ্কটের মাঝে দিন কাটিয়ে তারাও তো পারফর্ম করছেন এই টুর্নামেন্টে, তবে সাকিব কেনো নয়। মোহাম্মাদ আশরাফুল পাঁচ বছর পর মাঠে নেমেও এখন পর্যন্ত সাকিবের চাইতে বেশি রান করেছেন ব্যাট হাতে।
নুরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ফজলে মাহমুদরাও তো সাকিবের চাইতে বেশ এগিয়ে। ৫ ম্যাচে এখন পর্যন্ত সাকিবের সংগ্রহ মাত্র ৫৫ রান। রান গড় মাত্র ১১। বল হাতে উইকেট পেয়েছেন মাত্র তিনটি। এই পারফর্মেন্সের পরও হয়তো সাকিবের ভক্তরা আশায় আছেন দ্রুতই ফিরে আসবেন এই অলরাউন্ডার।
খুলনা গেজেট/এএমআর