সরকার কর্তৃক আসন্ন “আমন ধান ও চাউল সংগ্রহের মৌসুমে ধানের ক্রয় মূল্যের সাথে চাউলের ক্রয় মূল্যের সমন্বয় না থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা জেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুস সবুর’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বাবু, সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রণয় পাল, জেলা অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার, নির্বাহী সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রভাষক মোঃ কামরুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহম্মেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারা দেশে ১৮ হাজার রাইচ মিল রয়েছে। এসব রাইচ মিলে কর্মসংস্থান হওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের পরিবারের ৫০ লক্ষাধিক মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। আমরা করোনাকালীন ও আপদকালীন সময়ে ইরি বোরো মৌসুমে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছিলাম। সরকারি খাদ্য গুদামে আপদকালীন মজুদের জন্যে বাজার দর ছাড়াও লোকসান করে কেজি প্রতি ৩টাকা থেকে ৫ টাকা কম দামে চাউল সরবরাহ করেছি। সরকারিভাবে আমাদের আশ্বস্থ করা হয়েছিল আমন মৌসুমে এই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মিল মালিকদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। সরকার ধানের দাম বেধে দিয়েছে ২৬ টাকা ও চাউলের দাম বেধে দিয়েছেন ৩৭ টাকা। এক কেজি চাউল তৈরী করতে আমাদের খরচ হচ্ছে ৪৩ টাকা। প্রতি মৌসুমে প্রত্যেক মিল মালিক ১০/২০ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এর ফলে মিল মালিকরা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়বে এবং মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবেঅ এতে করে মিলের শ্রমিরা বেকার হয়ে পড়বে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার যদি আমাদের কথা একটু ভাবেন তাহলে মিল মালিকসহ সারা দেশের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের পরিবার খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারে। আমরা দাবী আদায়ে কখনও রাস্তায় দাঁড়াবো ভাবিনি। কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের কারণে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকার যদি আমাদের এই নার্য্য দাবী পূরণ না করে তাহলে আমাদের পক্ষে সরকারকে চাউল সরবরাহের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বক্তারা সরকারের কাছে এই নার্য্য ও যৌতিক দাবী পূরণের আহবান জানিয়ে জাতীয় সংগ্রহ কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এনডিসি মোঃ আজহার আলী।
খুলনা গেজেট/কেএম