রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা ও ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১টি রেস্তোরাঁকে ও তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ধানমন্ডি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়।
এরআগে ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটি সব রেস্টুরেন্ট। ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। সেখানে লেখা— ‘সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকিবে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।’
পরে সেখানে অভিযান শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ওই অভিযান শেষেই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
রাজউক’র পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, এই ভবনটি মূলত এফ ক্যাটাগরির। এই ক্যাটাগরি অনুসারে ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু আমরা পরিদর্শনে এসে মাত্র দুটি ফ্লোরের কিছু অংশ অফিস হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পেলাম। বাকি অংশে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১২ থেকে ১৫টি রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ওষুধ ও কাপড়ের দোকানও পেয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজউক ছাড়াও সিটি করপোরেশন কিংবা কলকারাখানা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদেরকেও বিষয়টি অবগত করব। নিয়মের ব্যত্যয় যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে সব রেস্টুরেন্টে তালা লাগানো। নেই কোনো মানুষজন। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। পরে বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে অভিযানিক দল। পরে সবগুলো রেস্টুরেন্ট বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে সকাল ১১টায় এই ভবনে অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাজউক। এসময় ভবনটির ছাদে নকশা বহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা রেট্রো লাইভ কিচেন নামের রুফটপ রেস্টুরেন্টটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ টিএ