শুধু ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ার কারণে ধর্ষণ মামলার আসামি খালাস পেতে পারে না। ভিকটিমের মৌখিক সাক্ষ্য ও অন্যান্য সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ভিত্তিতে তাকে সাজা দেয়া যেতে পারে। ইব্রাহিম গাজী বনাম রাষ্ট্র মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেছেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ধর্ষণের মামলায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ইব্রাহিম গাজীকে যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন তা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ রায় দেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, ধর্ষণ মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়, শুধু মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে ধর্ষণ মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না। ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে যে আসামি ধর্ষণ করেনি মর্মে খালাস পেয়ে যাবে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বুধবার এ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম