ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগ থেকে নোয়াখালী অভিমুখে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্টসহ বামপন্থী সংগঠনগুলো লংমার্চ শুরু করেছে। শাহবাগ থেকে শুরু করা লংমার্চটি নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে নোয়াখালীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে সকালে শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে জড়ো হন বামপন্থী শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে লংমার্চ যাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এ সময় ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করা, আইন প্রয়োগ ও ঘরে ঘরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। ধর্ষণ ও বিচারহীনতার জন্য সরকারকে দায়ী করে বক্তারা বলেন, এই ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে। এ ছাড়া সমাবেশে ধর্ষণসহ নারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কথা তুলে ধরা হয়।
৯ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো—অব্যাহত ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার সঙ্গে যুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ ও বিচারে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। পাহাড় সমতলে আদিবাসী নারীদের ওপর যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সিডো সনদে বাংলাদেশকে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন ও প্রথা বাতিল করতে হবে। নারী বিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ভিকটিমকে মানসিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গ্রামীণ সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।
খুলনা গেজেট / এমএম