সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় দায়ের করা লিখিত এজাহার নথিভুক্ত না করলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বয়েছে। শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঘটনার পরদিন ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে এ বিষয়ে থানায় এজাহার দিলেও তা এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়. শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভৈরবনগর গ্রামের ওই গৃহবধূ থানায় লিখিত এজাহার করেন। তাতে উল্লেখ করেন, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় সোহরাব হোসেন ও নুর ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা তার গায়ের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁত বসিয়ে জখম করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে ওই গৃহবধূ জানান, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে আমার দায়ের করা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা রেকর্ড না করা হলে আমি নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হবো। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি গরিব মানুষ এখন মামলা না হলে আত্মহননের পথ ছাড়া উপয় নেই।’
জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা খুলনা গেজেটকে বলেন, ওই নারীর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট / এআর