ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন তার সঙ্গে আমার কোনদিন দেখা হয়নি। দুই মাস আগে আমাকে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন যে কোন এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, যেটি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সে জন্য আমাকে ভূমিকা রাখতে বলা হয়। এরপর ফোন দেবে বলে আর কোন যোগাযোগ করেননি।’
নূর বলেন, ‘মামলার বাদী এক সময়ে ওই ছেলেটির পরিচয় দেয় আমাকে এবং বলে আমরা যেন ছেলেটিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করি। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে জানি ছেলেটির নাম নাজমুল সে আমাদের সংগঠনের কোন দায়িত্বে নেই। তবে সে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতো। তাই আমি অভিযোগকারীকে বলেছি সেতো আমাদের সংগঠনের কেউ না, পদেও নেই।’
‘এরপর মেয়েটি বলে নজমুলসহ আরো একজনকে বহিষ্কার করতে হবে যে হচ্ছে আমাদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। কিন্তু আমি তাকে বলি সে তো আমাদের আহ্বায়ক। আমি আহ্বায়ককে কিভাবে বহিষ্কার করবো। আপনার সমস্যা মনে হলে আমি আইনগত সহযোগিতা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে অভিযোগে সহযোগিতা করবো। কিন্তু শেষে তিনি আর যোগাযোগ রাখেননি।’
নুর বলেন, ‘আমি মনে করি মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা। আর মেয়েটির বাড়ি ময়মনসিংহে। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন নেতা মেয়েটিকে টাকা পয়সা দিয়ে মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় নুরসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। লালবাগ ওসি কেএম আশরাফ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নুরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। ওসি আরও বলেন, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ১০৪, নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
খুলনা গেজেট/এনএম