ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে অধ্যাদেশ জারি হতে পারে।
সম্প্রতি দেশে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। সিলেটের এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ-ধিক্কার জানায় হাজার হাজার মানুষ। টানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে রাজপথে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দিচ্ছেন এসব কর্মসূচিতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
কেউ কেউ ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগে জানিয়েছিলেন, জনগণের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব নিয়ে সমাজ এবং আইনবিদদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কোনো সমস্যার সমাধান নয়। শুধু সাজা বাড়ালেই ধর্ষণের এ মহামারী বন্ধ করা যাবে না। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির মাধ্যমে শাস্তিগুলোকে দৃশ্যমান করতে হবে।
একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ধর্মীয়, মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি অর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। কঠোর আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই অপরাধীদের নিরুৎসাহিত করতে হবে।
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হল- মানুষকে সংশোধন করা। অপরাধী না হয়ে উঠার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
খুলনা গেজেট/এনএম