কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবক দেবহাট উপজেলার কোমরপুর গ্রামের জনৈক জিয়াদ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম।
সোমবার খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস (জেলা ও দায়রা) জজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি এম এম সাজ্জাদ আলী।
তিনি মামলার এজাহারে বর্ণিত তথ্যের বরাত দিয়ে খুলনা গেজেটকে বলেন, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকাল ৭ টার দিকে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই ছাত্রী সখীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছালে আসামি জাহিদুল ইসলাম তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময়ে আসামি কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা জানিয়ে তাকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দেয় আসামি জাহিদুল। পরে ভিডিও চিত্র দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে আরও সুবিধা নিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ব্লু টুথের মাধ্যমে ওই ভিডিও বিভিন্ন জন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে আসামি জাহিদুল।
পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবহাট থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সংশোধনী ২০১৩ এর ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের২৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই উজ্জল কুমার দত্ত জাহিদুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় হলে ২০২১ সালের ১ জুন মামলাটি ঢাকা থেকে এখানে হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা গেজেট/এসজেড