ক্রিকেট বিশ্বের দ্রুতগতির বোলিং নিয়ে একটাসময় নিয়মত লড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি এবং পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ২০০৩ বিশ্বকাপে দুজনেই গতির ঝড় তুলেছেন। সেই যুদ্ধে অবশ্য জিতেছিলেন শোয়েব। পাকিস্তানি পেসা করেছেন এযাবতকালের সবচেয়ে দ্রুতগতির বল। স্পিডোমিটার অনুযায়ী, ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বল ছুঁড়েছিলেন তিনি।
পুরুষদের ক্রিকেট কিংবা সামগ্রিক ক্রিকেটে সহসাই শোয়েব আখতারকে কেউ ছাড়িয়ে যাবেন, এমনটা ভাবাও কষ্টকর। তবে নারী ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত চলছে রেকর্ড ভাঙ্গাগড়ার কাজ। গেলবছর আইপিএলেই ঘণ্টায় ১৩০.৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যালিস পেরি। সেটাই গতকাল ভাঙলেন শাবনিম ইসমাইল।
ভারতের নারী প্রিমিয়ার লিগে মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালস–মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে এই কীর্তি গড়েন শাবনিম ইসমাইল। মুম্বাইয়ের প্রোটিয়া পেসার শাবনিম ইসমাইলের ফুল লেংথের বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। বল ল্যানিংয়ের প্যাডে লাগলে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন করেন ইসমাইল সতীর্থরা। যদিও তাতে সায় দেননি আম্পায়ার।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অবশ্য সেই বলেই ঘটল রেকর্ড। ল্যানিংকে করা শাবনিমের বলটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩২.১ কিলোমিটার। যদিও সম্প্রচারকারী টিভির স্পিডমিটার সেটির গতি দেখিয়েছে ঘণ্টায় ১৩৮.৩ কিলোমিটার। তবে যাইই ঘটুক না কেন, এটাই যে মেয়েদের ক্রিকেটে দ্রুততম বল, তা নিয়ে নেই কোনো দ্বিমত।
শাবনিম এরই মধ্যে দিয়ে প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেছেন। ৩৫ বছর বয়সী ইসমাইল অবশ্য নিজের গড়া রেকর্ডের ব্যাপারে জানতেনই না, ‘আমি যখন বল করছিলাম, তখন বড় স্ক্রিনের দিকে তাকাইনি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম বলের রেকর্ডটাও শাবনিমেরই। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুবার ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম