কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকেই এবার জমে উঠেছে। ফেবারিটদের মৃত্যুকুপ এখনও বলা যাবে কি না এই বিশ্বকাপকে তা নিশ্চিত করে বলার সুযোগ এখনও নেই। কারণ, এখনও অধিকাংশের সম্ভাবনা আছে নকআউটে যাওয়ার। তবে, এটা ঠিক যে, এবারও গ্রুপ পর্ব থেকে কোনো কোনো ফেবারিটের বিদায় ঘটতে পারে।
সে হিসাব-নিকাশ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের খেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এতদিন চারটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চারটি ভিন্ন সময়ে। আজ থেকে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুটি ভিন্ন সময়ে। একই সঙ্গে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিটি গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ। এরপরই নিশ্চিত হবে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ থেকে কোন দুটি দল উঠবে শেষ রাউন্ডে।
প্রথম দুই রাউন্ডের ম্যাচ থেকে এরই মধ্যে তিনটি দল নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব। এই তিনটি দল হলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। ২০১০ সালের পর এই প্রথম ডিফেন্ডিং কোনো চ্যাম্পিয়ন গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়নি।
তিন দলের নকআউট নিশ্চিত হলেও দুটি দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে এরই মধ্যে। এর মধ্যে স্বাগতিক কাতার সবার চেয়ে অগ্রগামী। এরপর রয়েছে কানাডা। ৯২ বছর পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছিল। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ম্যাচ হেরেও বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
এছাড়া ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম দুই রাউন্ডে একটি পয়েন্টও পায়নি কানাডা। দুটিতেই হেরেছে। ফলে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের। বাকি ৬ গ্রুপের প্রতিটি দলই কমপক্ষে একটি করে ম্যাচ ড্র করে ১ পয়েন্ট করে অর্জন করেছে।
‘এ’ গ্রুপে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কাতারের। তবে কারও এখনও নকআউট নিশ্চিত নয়। ইকুয়েডর এবং নেদারল্যান্ডসের সমান ৪ করে পয়েন্ট। সেনেগালের রয়েছে ৩ পয়েন্ট। আজ (মঙ্গলবার) রাতে নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে কাতারের। স্বাগতিকদের হারালেই নকআউট নিশ্চিত। ডাচরা এমনিতেই এই ম্যাচে ফেবারিট।
অন্যদিকে ইকুয়েডর খেলবে সেনেগালের বিপক্ষে। এই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ড্র হয়, তাহলে সেনেগাল বিদায় নেবে। সেনেগাল জিতলে উঠে যাবে নকআউটে। তখন ইকুয়েডরকে তাকাতে হবে নেদারল্যান্ডস-কাতার ম্যাচের দিকে। কাতার যদি অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে, অর্থাৎ শেষ রাউন্ডে যদি নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডর দুই দলই হেরে যায়, তাহলে দ্বিতীয় দল নির্ধারণে গোল ব্যবধান হিসাবে আসবে।
তবে কোনো হিসাব-নিকাশেরই প্রয়োজন হবে না যদি নেদারল্যান্ডস আর ইকুয়েডর জিতে যায়।