শনিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে থাকছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে পেসার তাসকিন আহমেদকে নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তার জন্য ম্যাচের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি তাসকিন ও সাকিব দু’জনই। অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দুটি ম্যাচও খেলেননি সাকিব। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও মিস করেছেন। দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য সাকিব পুরোপুরি ফিট। অন্যদিক, তাসকিন দলে ফিরলেও তাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হক জানিয়েছেন, ‘তাসকিন এই ম্যাচ খেলতে পারবে কি না সেটা জানার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার পরই হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। সম্ভবত আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে খেলার জন্য সে বেশি প্রস্তুত।’
শেষ পর্যন্ত তাসকিন না খেলতে পারলে এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন আসছে, তা অনেকটা নিশ্চিত। দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন সাইফ হাসান। ফলে ওপেনিংয়ে তার জায়গায় মাহমুদুল হাসান জয়ের খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অবশ্য, বিকল্প ভাবনায় নাঈম শেখকেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু লঙ্গার ভার্সন খেলার অভিজ্ঞতা ও এই ফরম্যাটে পারফরম্যান্স বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত জয় টিকে যাবেন বলেই ধারণা।
সাকিব আল হাসান ফেরায় মিডল অর্ডারে জায়গা হারাতে হবে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বিকে। অন্যদিকে, তাসকিন খেলতে পারলে দলে আরও একটি পরিবর্তন হবে। সেক্ষেত্রে জায়গা হারাতে পারেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। চট্টগ্রাম টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় অপর পেসার এবাদত হোসেন হয়তো টিকে যাবেন। আর তাসকিন না খেলতে পারলে এবাদত ও রাহী দু’জনই খেলবেন।
একনজরে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী/তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন।
খুলনা গেজেট/এনএম