পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও দলগুলোর আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রকাশ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার (২৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ হতাশা জানিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনী আয়-ব্যয়সংক্রান্ত সব তথ্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (৪৪গ) ধারার বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণীর সত্যায়িত নথি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে জরিমানা ছাড়াও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি একই আদেশের (৪৪গগ) ধারা অনুযায়ী, ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয় বিবরণী ইসিতে জমা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট দলের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
টিআইবির ভাষ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই হিসেবে আয়-ব্যয়ের বিবরণী কমিশনে জমা দেয়ার জন্য প্রার্থীদের ৭ ফেব্রুয়ারি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সময় ছিল ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে নির্বাচনের ৫ মাস পরও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (৪৪ঘ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন জনগণের কাছে তথ্য বিবরণী উন্মুক্ত করেনি।
সংস্থাটির দাবি, নির্বাচনী আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন অমান্য করেছে। আবার যেসব দল বা প্রার্থী আয়-ব্যয়ের বিবরণ যথাসময়ে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমন তথ্যও নেই। এমনটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রত্যাশিত নয়। এই অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া দল ও প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের বিবরণী জনগণের কাছে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
খুলনা গেজেট/কেডি