একের পর এক উচ্ছেদ, তারপর ফের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ফুটপাত দখল করেই ব্যবসা করা হয় বলে অভিযোগ আছে। নগরীর দৌলতপুরের ফুটপাতের অবস্থা দেখলে মনে হবে এটি বড় কোন বাজার। খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে একাধিকবার ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান করলেও ২/৩ দিনের ব্যবধানে পুনরায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীরা।
নগরীর দৌলতপুর থানাধীন নতুন রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে বেবীট্যাক্সী স্ট্যান্ড পর্যন্ত এবং আঞ্জুমান ঈদগাহের সামনের ফুটপাতের ওপর গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান। যার ফলে পথচারী চলাচলে চরম বিগ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে মহিলা এবং শিশুরা পড়েছে সবথেকে বিপত্তিতে। ফুটপাত দখল হওয়ায় তারা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচল করছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে দূর্ঘটনা।
বিশেষ করে দৌলতপুর ট্রাফিক মোড় থেকে আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পার্শ্বে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখল করে মৌসুমী ফল বিকিকিনি করে। ব্যবসায়ীরা কলা, ডিম, মালটা, লেবু, আঙ্গুর, আপেল, বিভিন্ন ধরণের ফুল, মাস্ক, স্যানেটাইজার, ডাবসহ নানান ধরণের ফল বিকিকিনি করে। ইদানীং মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বাইরে কাপড়ের দোকানও দৃশ্যমান হয়েছে। বাজার কমিটি বা পুলিশ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
এদিকে কর্তৃপক্ষ ফুটপাত দখল উচ্ছেদের অভিযানের সংবাদ আগেই পেয়ে যায় এখনকার ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দোকান বন্ধ করে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে যদি ৩/৪ টি দোকান খোলা থাকলে তাদেরকে করা হয় সতর্ক । ফুটপাত দখল উচ্ছেদে কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে রীতিমত দৌলতপুরের ফুটপাত এখন এক প্রকার স্থায়ী বাজারে পরিণত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুুলিশ জানিয়েছে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করাটা অন্যায়। তবে এ বিষয়ে দৌলতপুরের বাজার কমিটির ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগীতা করব। দৌলতপুরের বাজার কমিটি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি নন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এষ্টেট কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানান,জেলা আইনশৃংখলা বিষয়ক কমিটির সভায় ফুটপাত দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত আছে। ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় অনেক সময় অভিযান করা হয় না। তবে মেয়রের নির্দেশনায় খুব দ্রুতই অভিযান করা হবে।
খুলনা গেজেট/নাফি