শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৫ হাজার ১৭৪ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জনের। তাছাড়া এই দিন বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
শুক্রবার বিশ্বজুড়ে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে ছিল জার্মানি। এই দিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৯০ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন ৯০ জন।
অন্যদিকে, এদিন এই রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম এই দেশটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২৪ জন এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২৪ জন।
জার্মানি ও ব্রাজিল ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ২ হাজার ১১৬ জন, মৃত ২৩৭ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৭৯ হাজার ২৬২ জন, মৃত ৪৯ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৫৫ হাজার ৮২৯ জন, মৃত ৫১ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৩০ হাজার ৬৬৭, মৃত ৪২ জন), যুক্তরাজ্য (মৃত ৬৮ জন, নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজার ৪৭৩ জন), স্পেন (মৃত ৬৫ জন, নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ৭২৮ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৮ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৬ হাজার ২৫২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহামারির দুই বছরে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৫২ জন।
এছাড়া এই সময়সীমার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন।