সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকায় পৌঁছে তিনি সরকারের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমরা যারা বিরোধী দল করি, আমাদেরকে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে, আবার আসার সময়ও হয়রানি। এটা মনে হয় জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম, তারপরও এগুলো আমাদেরকে ফেস করতে হয়।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিঙ্গাপুর থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সস্ত্রীক বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব। সেখান সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ফ্লাই করে এসেছি। এসে সরকারের যত রকম হয়রানি করার কৌশল আছে, এখানেও সেটা হয়েছে। সবাইকেই করতে হয়। আমরা যারা বিরোধী দল করি, আমাদেরকে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে। আবার আসার সময়ও হয়রানি।
এটা মনে হয় জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম, তারপরও এগুলো আমাদেরকে ফেস করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা নেয়ার ভুয়া খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না আর রুচিতে বাধে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে যে, মনে হয় এখানে একটা সমাজ তৈরি করে ফেলেছে এই সরকার। যে জগতের নোংরামি ছাড়া কিছু নেই। এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার। যখন আমাদের মতো রাজনীতিবিদ রাজনীতি করি, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, এখন গণতন্ত্র সংগ্রামের সঙ্গে আছি। আমাদেরকে নিয়ে জড়িয়েও এসমস্ত নোংরা কথা-বার্তা ছড়ায় এবং মিডিয়াতেও ছড়ায়। যেটা মনে করি যে, উত্তর দেয়াটাও আমার জন্য লজ্জাকর ব্যাপার।
গত ২৪শে আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির মহাসচিব। ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরআগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।
কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। এছাড়া তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। ওই সময় থেকেই চিকিৎসার ফলোআপের জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের যেতে হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম