যশোরের অভয়নগর উপজেলার অপরুপা জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে যশোর-খুলনা মহাসড়কে অবস্থিত নওয়াপাড়া বাজারের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ ভরি স্বর্ণ, ১২০ ভরি রুপা ও নগদ ৪৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জুয়েলার্সের মালিক গোপাল অধিকারী।
অপরুপা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী গোপাল অধিকারী বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই।শনিবার সকাল ৯টার দিকে দোকান খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি সব কিছুই তছনছ হয়ে গেছে। আমার দোকানের সামনের একটি সিটি গোল্ডের দোকানের তালা ভেঙে আমার অপরুপা জুয়েলার্সের দেয়াল ভেঙে ২ ভরি স্বর্ণ ও ১২০ রুপাসহ নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও সিটি ফুটেজের ডিভাইস নিয়ে গেছে। চোরের দল দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে। তারা সিসি ক্যামেরার ভিভিআরটি নিয়ে গেছে। এবং নতুন একটি তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে অভয়নগর থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় অভয়নগর উপজেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি ও রানি জুয়েলার্সের মালিক সুশীল কুমার ঘটনাস্থলে আসেন।
গ্রামীন জুয়েলার্সের আবুল কালাম বলেন, নাইটগার্ড যদি ঠিকমতো ডিউটি করতো তাহলে চুরির ঘটনা ঘটতো না।
সৌরভ সিটি গোল্ডের মালিক টুটুল দত্ত বলেন,আমার দোকানের দুটি তালা ভেঙ্গে চোর চক্রের দলেরা প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৮২০০ টাকা নিয়ে যায়। আমার ঘরের ভিতরে থাকা দেয়াল ভেঙ্গে অপরূপা জুয়েলার্স প্রবেশ করে সোনা, রুপা নিয়ে নতুন একটি তালা লাগিয়ে আমার দোকান বন্ধ করে চলে যায়।
জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বলেন, নওয়াপাড়া বাজারের প্রাণকেন্দ্রে এই জুয়েলারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি। জুয়েলারি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এখানে নাইটগার্ড আছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে তারা ৩ টা পর্যন্ত ডিউটি করেছে। সৌরভ সিটি গোল্ডের দুটি তালা ভেঙ্গে ড্রিল মেশিন দিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে অপরূপা জুয়েলার্সের চুরি করার পর তারা অন্য একটি নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সারা রাত পুলিশ এই বাজারে ডিউটি করেন। অথচ এর মধ্যেই এই চুরির ঘটনা ঘটল। এর আগেও দুই বছর আগে বাজারে চুরি হয়েছে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, বাজারটিতে পুলিশের টহল বাড়ানো এবং এ ঘটনাটির সাথে জড়িত চোরদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ।নাইটগার্ড যদি ঠিক মতো ডিউটি করত তাহলে চুরির সমস্যাটা ঘটতো না। তিনি সব দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ লাগানোর পরামর্শ দেন।
খুলনা গেজেট/এমএম