মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বেনাপোল রুটে আবারও বেনাপোল এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে যশোরের বেনাপোল স্টেশনের জন্য নির্ধারিত ১৮৮ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
এ সময় যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রেল কর্মকর্তারা। মহামারির কারণে এই রুটে গত বছরের ৫ এপ্রিল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক তুষার কুমার বিশ্বাস, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারমান মতিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অন্তত পাঁচ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সব ট্রেনের পাশাপাশি বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগরও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, কিছু দিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তবে সে সময় বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু করা হয়নি। ফলে কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের। এতে ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ বেনাপোল এক্সপ্রেস চালুর দাবি তোলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে আবারও চালু হলো।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসেসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, সড়কপথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। স্বাভাবিক সময়ে দিনে ১০ হাজার পর্যন্ত যাত্রী বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। তবে বর্তমানে করোনার কারণে প্রতিদিন যাত্রীর পরিমাণ দুই হাজারের কাছাকাছি। যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ চিকিৎসা নিতে ভারতে যাচ্ছেন। ট্রেন না থাকায় তাদের বাড়িতে ফেরার জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেরিতে হলেও ট্রেনটি চালু হওয়ায় অনেক উপকার হবে।
সপ্তাহে একদিন বুধবার বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর পৌনে ১টায় বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসে বেনাপোল একপ্রেস।
রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক তুষার কুমার জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও চালু হলো। এতে যাত্রীদের দূর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম