দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হলো রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি এর। আজ মঙ্গলবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ টিকা কিনতে চাইলে রাশিয়া আগামী মে মাস থেকেই টিকা দিতে পারবে।
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল।
এর আগে চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন কেনার জন্য সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহ সংক্রান্ত কোর কমিটি। সোমবার কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে দেশেই করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’ উৎপাদনে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দেশটি থেকে কিছু ভ্যাকসিন নগদ অর্থে ক্রয়ও করবে বাংলাদেশ সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে আমরা বলেছি যে, কিছু আমরা ক্যাশ দিয়ে কিনব; আর কিছু এখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করব। আমাদের দেশের কিছু ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি রাশিয়ার সহায়তা ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করবে। তবে শর্ত হচ্ছে, এর ফর্মুলা আমরা কাউকে দিতে পারব না।’
দেশে চীনের ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে মোমেন জানান, চীনের সঙ্গে ভ্যাকসিন আনা নিয়ে কথা চলছে। প্রাথমিকভাবে চীন বাংলাদেশকে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি দেবে, সংখ্যাটা ৫-৬ লাখের মতো হবে।
গত বছরের ১১ আগস্ট রাশিয়া উদ্ভাবিত করোনার টিকা স্পুটনিক-৫ এর অনুমোদন দেয় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের এই টিকাটি গত ৮ সেপ্টেম্বর সে দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশ এ পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে স্পুটনিক-৫ এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে গামালিয়া।
খুলনা গেজেট/এনএম