আমদানি রফতানি বানিজ্যকে আরো গতিশীল, রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ‘বিকম’ নামে একটি নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই প্রথম বেনাপোল কাস্টমস হাউসই একমাত্র ডিজিটাল কাস্টম হাউসে উন্নীত হলো।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে জিরোপয়েন্টে ইতিপূর্বে কার্গো শাখায় কাস্টমস ,বন্দর ও বিজিবি যৌথভাবে এনট্রি করতো। ফলে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগতো ৩০ মিনিট। বর্তমানে ‘বিকম’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে বারকোড ব্যবহার করায় সময় লাগছে মাত্র ৫ মিনিট। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় ভারত থেকে। ভারতীয় এসব ট্রাকের অবস্থান ও কোন শেডে পণ্য আনলোড হচ্ছে তা মুহুর্তেই জানা যাচ্ছে বিকম’সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট’র ঝুকিপূর্ন পণ্যের ঝুঁকি বিশ্লেষণ দ্রুত সম্ভব। দেশের যে কোন স্থানে অবস্থান করেও আমাদনি রফতানি পণ্যবাহি ট্রাকের সুনির্দিস্ট স্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে। মুহুর্তেই জানা যাচ্ছে, বাকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি , আন্ডারটেকিং ও সিএন্ড এফ এজেন্ট লাইসেন্স এর সকল তথ্য একযোগে যে কোন অফিসার জানতে পারছেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত কশিনার ড. নেয়ামুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বিকম’সফটওয়্যার তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ১৫ টি মডিউলের মাধ্যমে আমাদনি রফতানি বানিজ্যে গতিশীল, শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, চোরাচালানী পণ্য আটকসহ কাস্টমস ও বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বন্দরের গুদামে সংরক্ষিত বাজেয়াপ্ত মালামাল সমূহের অবস্থান নিশ্চিত করা। পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি করা সম্ভব নয় এ ধরনের সফটওয়্যারে। ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য ডিটেক্ট করা সম্ভব দ্রুত। বোর্ড সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক সফটওয়্যারটিকে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম