খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বরতী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাপিতে মেতে উঠেছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ ও সকল থানার আহবায়ক সদস্য সচিবদের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। দুস্কৃতিকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন স. ম আ. রহমান, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস প্রমূখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মহানগরীর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন পিছিয়ে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে সুধী সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ও শীঘ্রই মহানগর বিএনপির সভার মাধ্যমে নতুন করে ওয়ার্ড ইউনিয়ন সম্মেলনের তারিখ নির্ধারনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে মহানগরীর পুঁজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে খুলনার দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া সরকারের দোসর খুলনা জেলা প্রশাসককে অপসারণ না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে জেলা প্রশাসককে অপসারণের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
সভা থেকে খুলনা মহানগীর ৮ থানায় পতিত স্বৈরশাসকের গুন্ডাবাহিনী, চাঁদাবাজ, মাদকব্যবসায়ী, টেন্ডারবাজসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচার হাসিনা হটাও আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
-খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এএজে