দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মহামারীতে সর্বমোট চার হাজার ৩৫১ জন মারা গেছেন।
বুধবার (২ সেপ্টম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত একদিনে ১৫ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যাদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮২ জন।
আর সব মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই হাজার ৮৩৯ জন। আর সব মিলিয়ে সেরে উঠেছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৬ জন।
এদিকে দেশের সব জেলাতেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ১৫টি জেলায় ঈদুল আজহার পরের এক মাসে রোগী বৃদ্ধির হার বেশি দেখা গেছে। এই জেলাগুলোতে এক মাসের ব্যবধানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে চারগুণ পর্যন্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের(আইইডিসিআর) তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
এই এক মাসে তুলনামূলক নতুন রোগী বৃদ্ধির হার বেশি দেখা গেছে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে। যে ১৫টি জেলায় আগের চার মাসের তুলনায় গত এক মাসের ব্যবধানে ১০০ শতাংশের বেশি নতুন রোগী যুক্ত হয়েছে, তার চারটি ঢাকা বিভাগের, পাঁচটি রংপুর বিভাগের। শুরু থেকেই রাজধানীতে সংক্রমণ বেশি, এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পাশাপাশি এই বিভাগের সব জেলাতেই নতুন রোগী বেড়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে দুই কোটি ৫৭ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৫৭ হাজারে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
খুলনা গেজেট / এমএম