দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ২০৬ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ১৩১ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলো ৩ লাখ ৮ হাজার ৯২৫ করোনা রোগী।
শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৬ জন।
এর একদিন আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) দেশে আরও ২ হাজার ২১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধে মারা যান আরও ৪৭ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৩৩১ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার ৯৭৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৪ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯০১ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৫ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৬০৫ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৪ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ হাজার ১৪৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬২ হাজার ৭১৩ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০৫ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯১৪ জন।
সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৮ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৯৬ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত (২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৮ জন)।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।