করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে ক্রিকেটারদের আগমনে মুখর হয়ে উঠছে দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলো। বিশেষ করে চার বিভাগীয় শহরের চারটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সীমিত পরিসরে ক্রিকেটারদের অনুশীলন করার জন্য আজ খুলে দেয়া হয়েছে। চার শহরে মোট ৯ জন ক্রিকেটার অনুশীলন করলেন প্রথম দিন।
মার্চে সর্বশেষ ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড চলেছিল। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বন্ধ করে দেয়া হয় সেই কার্যক্রম। গত বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় ছিল ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার বিষয়টি। অবশেষে যথাযত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি।
সে হিসেব আজ সকাল থেকেই অনুশীলন শুরু হয় ক্রিকেটারদের। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিসিবি কিছু নিয়ম করে দেয় এ ক্ষেত্রে। সেটা হলো, একই সময়ে একজন মাত্র ক্রিকেটার অনুশীলন করতে পারবে একটি গ্রাউন্ডে। সাথে থাকবেন একজন ট্রেনার। তিনিও পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে অনুশীলন করাবেন।
বিসিবির কোনো গ্রাউন্ডসম্যান, কোনো স্টাফ কিংবা কর্মকর্তা ওই সময় মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। মিডিয়াকে তো আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু বলা হয়েছে, ফটো সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট দুরত্ব থেকে ছবি তুলতে পারবেন এবং টিভির ক্যামেরাম্যানরা দুর থেকে ফুটেজ নিতে পারবেন।
দ্বিতীয় ক্রিকেটার তখনই মাঠে নামতে পারবেন, প্রথম যখন উঠে যাবেন। এ হিসেবে আজ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসেন মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম এবং ইমরুল কায়েস। এই চারজন অনুশীলন করেন ঢাকায়।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আলাদা আলাদা সেশনে অনুশীলন করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। যদিও চট্টগ্রামে অনুশীলন করার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেননি স্পিনার নাঈম হাসান।
খুলনা গেজেট/এএমআর